সুবোধ ঘোষের লেখা বহুরূপী নামের একটি ছোট গল্প এখন দশম শ্রেণীতে পাঠ্য। গল্পটির প্রধান চরিত্র হরিদা। বহুরূপী সেজে মানুষকে আনন্দ দিয়ে জীবন চালায় সে। অল্পতেই সে সন্তুষ্ট। হরিদা সাধু সেজে বাবুর দেওয়া প্রণামীর একশ টাকা হেলায় ফেলে চলে গিয়ে আনা কয়েক বখশিস নিতে ফিরে যায় । সেদিন রামকৃষ্ণ কথামৃতে পেলাম ত্যাগী সাধুর গল্প। লোকটা সাধু সেজেছে। বাবুরা ভালোবেসে টাকা দিতে এলে নিল না। বহুরূপীর পোশাক ছেড়ে সে টাকা নিল । জানিনা সুবোধ ঘোষ কথামৃত পড়েই গল্পটি লিখেছিলেন কি না। এইপ্রসঙ্গে জৈন ধর্মর অপরিগ্রহ থেকে হিন্দু সন্ন্যাসী বৌদ্ধ ভিক্ষু বাউল ফকিরদের পালনীয় আচার সম্পর্কে আলোচনা হল ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে। সেদিন ওদের জানাইনি আমি নিজেও একটা বহুরূপী। শিক্ষকের ছদ্মবেশে স্কুলে যাই। স্কুলে যতক্ষণ থাকি ততক্ষণই সেইমত আচার আচরণ করি বলে মাসান্তে সরকার মাহিনা দেয়।স্কুলের বাইরে এসে কিন্তু পালটে নিই নিজেকে। পালটে গিয়ে আসল মানুষটা এমন আচরণ করি যে সকালের শিক্ষকটিকে চেনাই দায়। ছাত্রছাত্রীদের আজ তাই জানালাম, স্কুলে দেখেই তোমাদের স্যারকে মনে রেখ । এর বাইরের আমি অন্য আমি। তাকে বেশী চিনতে জানতে পারলে বিভ্রম হবে। হরিদা সাধু সাজতে সাজতে সাধু হয়ে গেলেও আমি শিক্ষকতা করতে করতে শিক্ষক হয়ে উঠতে পারিনি এখনও।
Leave a comment